কক্সবাজার জার্নাল ডেস্ক:
সৌদি আরবে কাজ করতে গিয়ে মৃত্যুর সাড়ে পাঁচ মাস পর আনোয়ার হোসেন (৩২) নামে এক যুবকের লাশ পেয়েছেন তার স্বজনরা। বুধবার (১১ জানুয়ারি) সকালে নিজ বাড়িতে একটি লাশবাহী গাড়ি তার লাশ ঠাকুরগাঁওয়ের বাড়িতে পৌঁছে দেয়। সৌদিতে মারা যাওয়া ওই প্রবাসী ঠাকুরগাঁওয়ের হরিপুর উপজেলার ভাতুরিয়া গ্রামে। তিনি ওই এলাকার মৃত সইদুল ইসলামের ইসলামের ছেলে।
বুধবার (১০ জানুয়ারি) দুপুর ১২টায় আনোয়ারের নামাজে জানাজা শেষে হরিপুর উপজেলার ভাতুরিয়া দক্ষিণ পাড়া সইদিঘি এলাকায় পারিবারিক কবরস্থানে লাশ দাফন করা হয়েছে।
পরিবারের স্বজনরা জানান, সৌদি আরবে কাজ করতে গিয়ে এক মাসের মাথায় গত ৩০ জুলাই ঘুমের মধ্যে তার মৃত্যু হয়। মৃত্যুর খবর দেশের বাড়িতে তার স্ত্রী ও স্বজনরা জানতে পারেন দুদিন পর। এরপর আনোয়ারের বড় ভাই জয়নাল আবেদিন লাশ দেশে আনতে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ে আবেদন করেন। আবেদনের পর মন্ত্রণালয়ের পদক্ষেপ, প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জোগাড় এবং যাবতীয় প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতেই কেটে গেছে প্রায় সাড়ে পাঁচ মাস।
বাড়িতে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, আনোয়ারের বাড়িতে স্ত্রী, আট বছরের পুত্র সন্তান ও তিন মাসের একটি সন্তান রয়েছে। সাত মাস আগে ছয় লাখ টাকা খরচ করে জীবিকার তাগিদে বিদেশে পাড়ি দিয়েছিলেন তিনি। সৌদিতে কাজ শুরু করার পর একমাস কাজ করলেও প্রথম বেতনের টাকা তোলার সুযোগ হয়নি।
অন্যদিকে, কর্মরত থাকা বিদেশি কোম্পানিটির পক্ষ থেকে কোনও ক্ষতিপূরণ পাবে না বলেও পরিবারকে পরিষ্কার জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।
আনোয়ারের বড় ভাই জয়নাল আবেদিন মাস্টার বলেন, মৃত্যুর খবর পাওয়ার পর থেকে পুরো পরিবারের শোকের মাতম চলছে। লাশ না পাওয়াতে শোক বেড়ে আরও দ্বিগুণ হয়েছিল। শত বাধা বিপত্তি আর অক্লান্ত পরিশ্রম করে লাশ দেশে আনতে পেরেছি। ভাইকে দাফন করেছি কবরস্থানে। আর কিছু চাওয়ার নেই।
হরিপুর থানার ওসি তাজুল ইসলাম বলেন, মারা যাওয়ার খবর শুনেছিলাম। তবে লাশ দেশে এসেছে কি-না তা জানা নেই। বিদেশে কেউ মারা গেলে লাশ আনতে অনেক সময় লাগে।
বাংলা ট্রিবিউন
প্রতিদিনের খবরগুলো আপনার ফেসবুক টাইমলাইনে পেতে নিচের লাইক অপশনে ক্লিক করুন-